শরীয়তপুরের ঐতিহ্যবাহী ‘জ্বীনের মসজিদ’
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
মসজিদের নাম ‘জ্বীনের মসজিদ’। নামের পেছনে জ্বীনতাত্ত্বিক কারণও রয়েছে। শোনা যায়, মসজিদটি কোন মানুষের নকশায় বা শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠেনি। অলৌকিকভাবে একরাতের মধ্যে গড়ে উঠেছে । তাই এলাকাবাসি এর নাম দিয়েছে ‘জ্বীনের মসজিদ’।
এলাকাবাসির ধারণা, আনুমানিক দু’শো বছর আগে কোন এক রাতে অলৌকিকভাবে গড়ে ওঠে এই মসজিদটি। আগের দিন পর্যন্ত যেখানে ছিল অথৈ পানি,একরাতের মধ্যে পানির ভিতর মাটি ফেলে কারুকার্যখঁচিত একটি মসজিদ নির্মাণ করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এটা জ্বীনের কাজ।
মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর প্রায় ৫০-৬০ বছর কেউ সেখানে নামাজ পড়তে যায়নি। কারণ তার আশে পাশে তেমন বসতি ছিলনা। যে দু’একটা ঘর ছিলো, তারা ভয়ে মসজিদের কাছে যেতনা। পরে বসতি বাড়ার সাথে সাথে কিছু মানুষ নামাজ পড়তে যেতে থাকে। তখন নামাজের সময় কিছু অপরিচিত মানুষ অংশগ্রহণ করতো বলে কথিত রয়েছে। প্রায় একশ’ বছর পর মসজিদের কিছুটা সংস্কার করা হয়। তবে ছাদের ওপর উঠার সাহস এখনো কেউ দেখাননি।
পাঁচ কাঠা জমির ওপর স্থাপিত চতুর্ভূজ আকৃতির মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। মসজিদের ভেতরে নামাজের জন্য তিনটি কাতার বা লাইন দাঁড়াতে পারে। প্রতি লাইনে কমপক্ষে দশজন দাঁড়াতে পারে। মসজিদে এখনো নির্দিষ্ট কোন ইমাম নেই। বা কেউ মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থান করেনা। একা একা কেউ নামাজও পড়তে আসেননা। বিশেষ করে জোহর ও এশার নামাজ পড়তে এখনো ভয় পান মুসল্লিরা।
প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে শরীয়তপুর জেলার গোসাইর হাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল